* Astabakra Gita 1 ।। অষ্টবক্র গীতা ।। পূর্বকথা ও প্রথম অধ্যায় ।।

।। পূর্বকথা ।।

একদা উদ্দালক  নামে এক  ঋষি ছিল ,
শিষ্যের সাথে কন্যা সুজাতার বিয়ে দিল ।। 
বিয়ের পর সুজাতা পিতা পতি সঙ্গে ,
বসে শোনেন সত্সঙ্গ সন্তান ধরি অঙ্গে ।। 
গর্ভ হতে সন্তান বাবার ভুলটি ধরে ,,
অভিশাপ দিল বাবা বাঁকা জন্মাবি ওরে ।। 
যখন সুজাতার  গর্ভের সেই ছেলে জন্মালো ,
আঠ খুঁত নিয়ে শরীরে সে ভূমিষ্ঠ হলো ।।

ঐদিকে যে বরুনলোকে এক যজ্ঞের তরে ,
এক দুষ্ট বামুন এলো জনকরাজার ঘরে ।।
কহে ব্রাম্ভন ডাকো দেখি তোমার সভাসদে ,
যদি কেউ হারাতে না পারে আমায় পড়িবে বিপদে ।।
একে একে অনেক এলো হার মানলো শেষে ,,
অষ্টবক্রের পিতা সহিত গেল কারাবাসে ।। 

বাবাকে ছাড়াতে বার বছরের ছেলে ,
বাঁকা দেহ নিয়ে শত যোজন পথ চলে ।।
একমাসভর হেঁটে হেঁটে গেল  জনকপুরি,
তার রূপ দেখে সভাসদে হাসেন ভুরিভুরি ।।
সেই দেখে দুঃখি হয়েও অষ্টাবক্র হাসে ,,
কি কারণে হাসছ তুমি জনক জিজ্ঞাসে ।।
বালক বলে ভেবেছিলাম দেখব গুনিজনে ,,
এযে দেখি মুচির দল দশ-বিশটি গুনে ।।
পরম আশ্চর্যে রাজা রাগিযা জিজ্ঞাসিল,
কেমনে এমন কহিলে এখন দেখি বলো,
অষ্টবক্র কহিলেন শোনো জনকরাজ,
একজনেরো জ্ঞান নেই তা শোনো মহারাজ !!
আত্মা আমি, আত্মা তুমি, তাও জানেনা এরা,,
অস্থিচর্ম বোধেই এদের চৈতন্য ঘেরা ।।
কি দোষ মোর আর কহো ডাকি যদি মুচি ?
চামড়া শুঁকেই চলে এরা নেইকো মনে শুচি।।
বুঝত যদি বিবেক যে কি - কিই বা চৈতন্য ,
তবে ভাবতোনা নিজেদের আমা হতে ভিন্ন ।।
এমন কথা শুনি রাজার চৈতন্য ফিরিল ,
অষ্টবক্ররে রাজা নিজ আসনে বসালো ।।
চরনতলে বসি রাজন জ্ঞান যে পেতে চান,
অষ্টবক্র তর্কেতে দুষ্ট ব্রাম্ভনে হারান ।।
তদপরি পিতাসহিত পিতারে মুক্ত করি,
জনক সম্মুখে দাঁড়াইলেন আসি গুরুরূপ ধরি ।।
গানে গানে বহু প্রশ্ন রাজন জিজ্ঞাসে,
অষ্টবক্র সকল উত্তর দিলেন অনায়াসে ।।
সেই প্রশ্নোত্তর হলো এই অষ্টবক্রগীতা-গান,
পড়লে পাবে মুক্তসম পরম আত্মজ্ঞান ।।

अष्टावक्र गीता (मूल संस्कृत) 

।। प्रथम अध्याय ।।

जनक उवाच - कथं ज्ञानमवाप्नोति,कथं मुक्तिर्भविष्यति।वैराग्य च कथं प्राप्तमेतद ब्रूहि मम प्रभो॥१-१॥ 
अष्टावक्र उवाच -मुक्तिमिच्छसि चेत्तात्, विषयान विषवत्त्यज। क्षमार्जवदयातोष, सत्यं पीयूषवद्भज॥१-२॥
न पृथ्वी न जलं नाग्निर्न वायुर्द्यौर्न वा भवान्।एषां साक्षिणमात्मानं चिद्रूपं विद्धि मुक्तये॥१-३॥
यदि देहं पृथक् कृत्य चिति विश्राम्य तिष्ठसि।अधुनैव सुखी शान्तो बन्धमुक्तो भविष्यसि॥१-४॥  
न त्वं विप्रादिको वर्ण: नाश्रमी नाक्षगोचर:।असङगोऽसि निराकारो विश्वसाक्षी सुखी भव॥१-५॥
धर्माधर्मौ सुखं दुखं मानसानि न ते विभो।न कर्तासि न भोक्तासि मुक्त एवासि सर्वदा॥१-६॥
एको द्रष्टासि सर्वस्य मुक्तप्रायोऽसि सर्वदा।अयमेव हि ते बन्धो द्रष्टारं पश्यसीतरम्॥१-७॥
अहं कर्तेत्यहंमानमहाकृष्णाहिदंशितः।नाहं कर्तेति विश्वासामृतं पीत्वा सुखं भव॥१-८॥
एको विशुद्धबोधोऽहंइति निश्चयवह्निना।प्रज्वाल्याज्ञानगहनं वीतशोकः सुखी भव॥१-९॥
यत्र विश्वमिदं भातिकल्पितं रज्जुसर्पवत्।आनंदपरमानन्दः सबोधस्त्वं सुखं चर॥१-१०॥
मुक्ताभिमानी मुक्तो हि बद्धो बद्धाभिमान्यपि।किवदन्तीह सत्येयं या मतिः सा गतिर्भवेत्॥१-११॥
आत्मा साक्षी विभुः पूर्ण एको मुक्तश्चिदक्रियः।असंगो निःस्पृहः शान्तो भ्रमात्संसारवानिव॥१-१२॥
कूटस्थं बोधमद्वैत-मात्मानं परिभावय।आभासोऽहं भ्रमं मुक्त्वा भावं बाह्यमथान्तरम्॥१-१३॥ 
देहाभिमानपाशेन चिरं बद्धोऽसि पुत्रक।बोधोऽहं ज्ञानखंगेन तन्निष्कृत्य सुखी भव॥१-१४॥
निःसंगो निष्क्रियोऽसि त्वं स्वप्रकाशो निरंजनः।अयमेव हि ते बन्धः समाधिमनुतिष्ठति॥१-१५॥
त्वया व्याप्तमिदं विश्वं त्वयि प्रोतं यथार्थतः।शुद्धबुद्धस्वरुपस्त्वं मा गमः क्षुद्रचित्तताम्॥१-१६॥
निरपेक्षो निर्विकारो निर्भरः शीतलाशयः।अगाधबुद्धिरक्षुब्धो भव चिन्मात्रवासन:॥१-१७॥ 
साकारमनृतं विद्धि निराकारं तु निश्चलं।एतत्तत्त्वोपदेशेन न पुनर्भवसंभव:॥१-१८॥
यथैवादर्शमध्यस्थे रूपेऽन्तः परितस्तु सः।तथैवाऽस्मिन् शरीरेऽन्तः परितः परमेश्वरः॥१-१९॥
एकं सर्वगतं व्योम बहिरन्तर्यथा घटे।नित्यं निरन्तरं ब्रह्म सर्वभूतगणे तथा॥१-२०॥

।। প্রথম অধ্যায় ।।

জনক জিজ্ঞাসেন .....

কেমনে জ্ঞান মিলবে বলো ওগো মোর গুরু,
বলো কেমন করে কোথায় হবে মোর মুক্তি শুরু ??

কেমনে আসিবে ত্যাগ হবো বৈরাগী ,
বুঝিয়ে দাও সহজ করে এই ভিক্ষা মাগি !!

জনকরাজে কহেন তখন অষ্টবক্র মুনি ,
মুক্তি খুঁজে বেড়াও কেন মোহের জাল বুনি !

ত্যাগ করো এই ইন্দ্রিয়সুখ তাহে জেনো বিষ,
ধৈর্য, শ্রম,দয়া, তৃপ্তি - সত্যের আশীষ ।।

নহ তুমি ক্ষিতি/অপ/মরুৎ/তেজ/ব্যোম,
মুক্ত রবে হলে এ পঞ্চ-তত্ত্বের সাক্ষী পরম ।।

বিবেকচেতনা তোমার দেহ হতে ভিন্ন,
তাহাই মুক্তি, তাহাই সুখ মায়া হতে বিচ্ছিন্ন ।।

নহ তুমি ব্রাহ্মণ বা ক্ষত্রিয় জাতেতে ,
নহ দৃশ্য বা কোনো স্তর এ মিথ্যা জগতে ।।

সাক্ষী তুমি হলেও সাক্ষীর নেইকো কোনো রূপ ,
সুখ এখনি এইখানে জেনো গো অরূপ !!
ঠিক কিম্বা বেঠিক সবই এই মনের-ই হাল,
সুখ দুঃখ কান্না হাঁসি সবই মায়ার জাল ।।

ঘটনাচক্রেতে তুমি দিওনাকো ধরা ,
কর্তাও নয়,ভোক্তাও নয়,মুক্ত জলের ধারা ।।

সাক্ষীভাবে মুক্ত থাকো সাক্ষীর নেই জোড়,
বন্ধনে না বেঁধো নিজেরে - নেইকো ইহার তোড় ।। 

বিশ্লষণে ভাবো তুমি কর্ত্তা হলাম আমি ,
সাপের মতো এ ভাবনা বাঁধে হাসেন অন্তর্যামি ।।

এ অজ্ঞানতার ভাবনা তোমার কল্পনার-ই রূপ ,
সহজেই জেনে নাও এবার তোমার নিজ চৈতন্য-স্বরূপ ।।

কর্ম করেও কর্তা যে নও এইটুকু কেবল জেনো ,
পূর্ণচৈতন্য বলিয়া তুমি আপনারে মেনো ।।

রজ্জুকে সর্প তূমি ভেবেছিলে কখনো,
এখন যাহা যেমন তারে তেমন করেই চেনো ।।

সেই চেতনা - আত্মজ্ঞান যেমনি তূমি পেলে ,
ছিলে দুঃখী এখন আনন্দস্বরূপ হলে ।।

মুক্ত আমি ভাবলে পরে মুক্তি তুমি পাবে ,
বদ্ধ - এ চিন্তা করলে পরে বাঁধাই পড়ে রবে ।।

মনেই মুক্তি মনই বন্ধন - খুব ই খাঁটি কথা ,
এ মনেই থাকে সুখ- দুঃখ সকল হাসি ব্যাথা ।।

সব বাসনাশূন্য তুমি- যেন এক নিখুঁত মুক্তো, 
কভু কোনো কর্মকান্ডে ছিলেনা তুমি যুক্ত ।।

শান্তি তুমি - বুদ্ধ তুমি - শুদ্ধ তূমি ওম্ ,
আত্মা তূমি চৈতন্যে তূমিই পরম ।।

ধ্যানে ধরো অদ্বৈত নিশ্চল আর আদি ,
দ্বৈতবোধের নেই অস্তিত্ব তুমিই সেই অনাদি ।।

ভিতর বাহির সব মিথ্যা নয়তো ক্ষণজন্মা ,
ছিলে তুমি - থাকবে তুমি - তূমি যে অজন্মা ।।

বহুকাল ধরে ছিলে দেহের ভাবে বদ্ধ ,
এবার জানো নয়কো দেহ - তুমি অপাপবিদ্ধ ।।

দেহবোধকে কাটো নিয়ে ছুরির সমান জ্ঞান ,
আনন্দে নিবাস করো পরমানন্দ মহান ।।

সত্যই তুমি সদামুক্ত  কর্মবোধ থেকে ,
নিরঞ্জন নিজের প্রদীপ নিজেরে আলো দিতে ।।

মন তোমারে যখন তখন এখান ওখান ঘুরায়,
বদ্ধ তুমি কেবল মনমধ্যে , সেই তোমারে ছোটায় ।।

তুমি যে চেতনা তবু ভ্রান্তিতে নিজেরে ভাব এ মন ,
সেই ছোট্ট মনের ধারনাতেই বদ্ধ আজীবন ।।

তুমি নিঃস্বার্থ , আদি ও অকৃত্রিম ,,  নিশ্চল অরূপ তুমি , বাধাবন্ধহীন ।।

শুদ্ধ চৈতন্য তুমি তোমার নিজমধ্যে বাস ,
করোনা তো ভিতরে বা বাহিরে নিবাস ।।

যাহাকিছু দেখ তুমি সব-ই মিথ্যা বলে জেনো ,
এ জ্ঞানে আসিয়া সকল মায়া বলিয়াই মেনো ।।

পরমেশ্বর দর্পণসম প্রতিবিম্বে ভরা ,
তবু ওই প্রতিবিম্বে তো নয় সেই দর্পণ ধরা ।।

দর্পণেরই মধ্যে ছবি - সে তো নয় আলাদা অস্তিত্ব ,
তবু সে ছবি নয় দর্পণ ইহাই অতি সত্য ।।

পাত্রভিতর পাত্রবাহির শূণ্য দিয়ে ভরা ,
সেইরূপ সকলি ধরিয়া নিজে থাকো যে অধরা ।।

 Chapter 1 

------------

(1-1) Old king Janak asks the young Ashtavakra - How knowledge is attained, how liberation is attained and how non-attachment is attained, please tell me.
(1-2) Sri Ashtavakra answers - If you wish to attain liberation, give up the passions (desires for sense objects) as poison. Practice forgiveness, simplicity, compassion, contentment and truth as nectar.
(1-3)You are neither earth, nor water, nor fire, nor air or space. To liberate, know the witness of all these as conscious self.
(1-4) If you detach yourself from the body and rest in consciousness, you will become content, peaceful and free from bondage immediately.
(1-5)You do not belong to 'Brahman' or any other caste, youdo not belong to'Celibate' or any other stage, nor are you anything that the eyes can see. You are unattached, formless and witness of everything - so be happy.
(1-6) Righteousness, unrighteousness, pleasure and pain are connected with the mind and not with the all-pervading you. You are neither the doer nor the reaper of the actions, so you are always almost free.
(1-7) You are the solitary witness of all that is, almost always free. Your only bondage is understanding the seer to be someone else.
(1-8) Ego poisons you to believe: “I am the doer”. Believe “I am not the doer”. Drink this nectar and be happy.
(1-9) The resolution "I am single, pure knowledge”consumes even the dense ignorance like fire. Be beyond disappointments and be happy.
(1-10) Feel the ecstasy, the supreme bliss where thisworld appears unreal like a snake in a rope, know this and move happily.
(1-11) If you think you are free you are free. If you think you are bound you are bound. It is rightly said: You become what you think.
(1-12) The soul is witness, all-pervading, infinite, one, free, inert, neutral, desire-less and peaceful. Only due to illusion it appears worldly.
(1-13) Meditate on unchanging, conscious and non-dual Self. Be free from the illusion of 'I' and think this external world as part of you.
(1-14) 'O son, you have become habitual of thinking- “I am body” since long. Experience the Self and by this sword of knowledge cut that bondage and be happy.
(1-15) You are free,still, self-luminous, stainless.Trying to keep yourself peaceful by meditation is your bondage.
(1-16)You have pervaded this entire universe; really, you have pervaded it all. You are pure knowledge, don't get disheartened.
(1-17) You are desire-less, changeless,solid and abode to calmness, unfathomable intelligent. Be peaceful and desire nothing but the self.
(1-18) Know that form is unreal and only the formless is permanent. Once you know this, you will not take birth again.
(1-19) Just as form exists inside a mirror and outside it, Supreme Self exists both within and outside the body.
(1-20) Just as the same air stays inside and outside of a vessel, Supreme self is there inside and outside... everywhere.....