Wednesday 24 September 2014

।। दृग्दृश्य विवेकः ।। ।। দৃগ্দৃশ্য বিবেক ।। ( Bengali Translation of Drigdrishya Viveka )


।। ॐ परमात्मने नमः।।
------------------
।। दृग्दृश्य विवेकः ।।
----------------

रुपं दृश्यं लोचनं दृक् तद्-दृश्यं दृक्तु मानसं।
दृश्याधीवृत्तयस्साक्षी दृगेव न तु दृश्यते।।1।।
नीलपीतस्थूलसूक्ष्मह्नस्वदीर्घादि भेदतः।
नानाविधानि रुपाणि पश्येल्लोचनमेकधा।।2।।
आन्ध्यमान्ध्पटुत्वेषु नेत्रधर्मेषु चैकधा।
संकल्पयेन्मनः श्रोत्रत्वगादौ योज्यतामिदम्।।3।। 
कामः संकल्पसंदेहौ श्रद्धाश्रद्धे धृतीतरे।
ह्नीर्धीर्भीरित्येवमादीन् भासयेत्येकधा चितिः।।4।। 
नोदेति नास्तमेत्येषा न वृर्द्धि याति न क्षयम्।
स्वयं विभात्यथान्यानि भासयेत्साधनं विना।।5।। 
चिच्छायावेशतो बुद्धौ भानं धीस्तु द्विधा स्धिता।
एकाहंकृतिरन्या स्यादंतःकरणरुपिणि।।6।।
छायाहंकारयोरैक्यं तप्तायःपिंडवन्मतं।
तदहंकारतादात्म्याद्देह श्र्चेतनतामगात्।।7।।
अहंकारस्य तादात्म्यं चिच्छायादेहसाक्षिमिः।
सहजं कर्मजं भ्रान्तिजन्यं च त्रिविधं क्रमात्।।8।।
संबंधिनोस्सतोर्नास्ति निवृत्तिस्सहजस्य तु।
कर्मक्षयात् प्रबोधात्र्च निवर्तेते क्रमादुभे।।9।।
अहंकारलये सुप्तौ भवेद्देहोउप्यचेतनः।
अहंकार विकासार्धंस्वप्नस्सर्वस्तु जागरः।।10।।
अंतःकरणवृत्तिश्र्च चितिच्छायैक्यमागता।
वासनाः कल्पयेत्स्वप्नेबोधेउक्षैर्विषयान्बहिः।।11।।
मनेउहंकृत्युपादानं लिंगमेकं जडात्मकं।
अवस्थात्रयमन्वेति जायते म्रियते तथा।।12।।
शक्तिद्वयं हि मायाया विक्षेपावृतिरुपकं।
विक्षेपशक्तिर्लिगादि ब्राह्माण्डांतं जगत्सृजेत्।।13।।
सृष्टिर्नाम ब्रह्मरुपे सच्चिदानांदवस्तुनि।
अब्धौ फेनादिवत्सर्वनामरुपप्रसारणा।।14।।
अंतर्दृगदृश्ययोर्भेदं बहिश्र्च ब्रह्मसर्गयोः।
आवृणोत्यपरा शक्तिस्सा संसारस्य कारणम्।।15।।
साक्षिणः पुरतो भाति लिंगं देहेन संयुतम्।
चितिच्छाया समावेशाज्जींवस्स्याद्वयावहारिकः ।।16।।
अस्य जीवत्वमारोपात्साक्षिण्यप्यवभासते।
आवृतौ तु विनष्टायां भेदे भातेय्पयाति तत्।।17।।
तथा सर्गब्रह्मणोश्र्च भेदमावृत्य तिष्ठति।
या शक्तिस्तद्वशाद्बह्म विकृतत्वेन भासते।।18।। 
अत्राप्यावृतिनाशेन बिभाति ब्रह्मसर्गयोः।
भेदस्तयोर्विकारस्स्यात्सर्गोन ब्राह्मणि क्कचित्।।19।।
मुख्य पृष्ट पर जाने हेतु यहाँ दबाएँअस्ति भाति प्रियं रुपं नामचेत्यंशपच्त्रकम्।
आध्यत्रयं ब्रह्मरुपं जगद्रूपं ततो द्वयम्।।20।।
खवायवग्निजलोर्वीषु दोवतिर्यड़नरादिषु।
अभिन्नास्सच्चिदानंदाः भिधेते रुपानामनी।।21।। 
उपेक्ष्य नामरुपे द्वे सच्चिदानंदतत्परः।
समार्धि सर्वदा कुर्यादूहृदये वाय्थवा बहिः।।22।। 
सविकल्पो निर्विकल्पः समाधिर्द्वविधो हृदि।
दृश्यशब्दानुवेधेन सविकल्पः पुनर्द्विधा।।23।।
कामध्हाश्र्चित्तगा दृश्यास्तत्साक्षित्वेन चेतनम्।
ध्यायेदूदृश्यानुविद्धोह्ययं समाधिस्सविकल्ककः ।।24।। 
असंगस्सच्चिदानंदस्स्वप्रभो द्वैतवर्जितः।
अस्मीति शब्दविद्धोउयं समाधिस्सविकलपकः।।25।।
स्वानुभूतिरसावेशादू दृश्यशब्दावुपेक्ष्यतु।
निर्विकल्पस्समाधिस्स्यान्निवातास्थितदीपवत्।।26।। 
हृदीव बाह्मदेशेउपि यस्मिन्कर्स्मिश्र्च वस्तुनि।
समाधिराद्यस्सन्मात्रान्नामरुपपृथक्कृतिः।।27।।
अखंडैकरसं वस्तु सच्चिदानन्दलक्षणम्।
इत्यविच्छिन्नर्चितेयं समाधिर्मध्यमो भवेत्।।28।। 
स्तब्धीभावो रसास्वादात्तृतीयः पूर्ववन्मतः।
एतैस्समाधिभिष्षडूभिर्नयोत्कालं निरंतरम्।।29।। 
देहाभिमाने गळिते विज्ञाते परमात्मनि।
यत्र यत्र मनो याति तत्र तत्र समाधयः।।30।। 
भिद्यते हृदयग्रंथिः छिद्यंते सर्वसंशयाः।
क्षीयंते चास्यकर्माणि तस्मिन्दृष्टो परावरे ।।31।। 

*****************************

কত জ্ঞানবান- কত পুঁথি লিখে গেছে,,
জেনো, দ্রষ্টা শুদ্ধবিবেকে তব অজান্তে ধরা আছে !!

শিশুর প্রতিটি জানার জান্তা তার মা যেমনি হয় ,,
শিশুকালে নিজ অজান্তেই শিশু পায় সেই পরিচয়,,

সবার  গভীরে সে শক্তি আছে ,
চেতন-প্রদূষণ-ই দ্বৈত !!
যেমনি মায়ের সব সন্তান এক ,
মা নিজেই যে অদ্বৈত !!

হোক সে বোধি, হও বোধা-তীত ,
বুদ্ধি হোক শুদ্ধ - মুক্ত ,,
সে পলে বুঝিবে জ্ঞানেরও জ্ঞানী -কে ,
হবে অদ্বৈতে বুদ্ধ  ...... !!  

*****************************

ব্রহ্ম সত্য জগত মিথ্যা ইহাই শ্রুতি কয় ,
এক সে ব্রাহ্মন অদ্বৈত তাহা তো অজানা নয় !!

তবু যে কেন প্রপঞ্চ জগৎ মোদের কাছে স্পষ্ট ,
ব্রহ্মে কেন দেখিনা কেন তিনি রহেন অস্পষ্ট ?

উন্নত সাধকের এ প্রশ্ন অবশ্য আসিবে মনে ,
কেন অদ্বৈত থাকেন অধরা আমাদের মননে ??

আত্ম আর ব্রহ্ম দুইই- এক বৈ তো নয় ,
ঢেকে রাখে 'অবিদ্যা' তারে ; যা আত্মার-ই  অংশ হয় !!

আত্মার মতই যার নেইকো কোনো শুরু ,
এও যে এক মায়া বলে গেছে রমন -গুরু !!

ছায়াছবি পর্দায়  আঁধারে আলো ফেললেই  ভাসে  ,
ব্রহ্ম তেমন পরম-অনুভবেই আসে !!

*****************************
*****************************

দেখছে যে চোখ , হচ্ছে সে 'দৃক' , যা দেখি তাই 'দৃশ্য ' ,
আবার চোখ কে দেখে মন যখন - চক্ষু  সেথায়  দৃশ্য ' || 

আবার এ মন আর মনের ভাবনাগুলি ' আত্মা' মোদের দেখে ,,
সে আত্মা দৃশ্য তো নয় - ' দৃক' কহি মোরা যাকে || 

নীল-পিত্ত ,স্থুল -সুক্ষ্ম, লম্বা কিম্বা খাটো,,এ সবই সেই চক্ষু দেখে - যা এক থাকে অবিরত ||

আবার সে চোখের বৈশিষ্ট তিখ্নতা কিম্বা অন্ধত্ব বা তা অনুজ্বল ,,
এ সবই মনে অনুভূত -যে মন সেসাথে  এক, আর অবিরল ||

আবার মনের যত প্রকৃতি , যেমন - ইচ্ছা , প্রত্যয়, সংশয় ,,
বিশ্বাস বা তার চাহিদা , কিম্বা লজ্জা -ভয়.....

ভেদাভেদ বা ভালো মন্দ সবই চেতনাতে অনুভূত ,
বিবেক বা চেতন , আত্মা -শুদ্ধ সনাতন ,না হয় উদিত অস্তমিত ||

স্বয়ংপ্রভ সেই  'আত্মা' বিনা অন্য  কোনো সাধনে ,
স্বপ্রকাশিত - সবে প্রকাশিত করে- বিনা কোনো উপকরণে ||

বুদ্ধি - যা অভ্যন্তরীয় অঙ্গের সমষ্ঠি,,  
তার  প্রতিবিম্বিত চৈতন্যের  দ্বিবিধ  -প্রকৃতি !!

এই দৃষ্টিকোনীয় দ্বি-প্রকৃতির 'অহংবোধ ' প্রথম ,
দ্বিতীয়টিকেই কহি মোরা আমাদের 'মন ' ||

এই 'বুদ্ধি' -র যোগ সেই প্রতিবিম্বিত চৈতন্যের সাথে ,,
তুলনা যেমনে আগুন আর উত্তপ্ত-অগ্নিভ- লৌহ-গোলকেতে ||

স্থুলদেহ জোড়া আছে এই চেতনসত্তা সঙ্গে ,,
আবার অহং আর প্রতিবিম্বিত-চৈতন্য বিস্তৃত ত্রিবিধ অঙ্গে !!

চৈতন্য -শরীর -সাক্ষী , অহং এই ত্রি-অঙ্গ সাথে ,,
প্রথম সহজ , দ্বিতীয় কর্মজ , তৃতীয় ভ্রান্তি -ভাবেতে ||

যতক্ষণ না হয় আত্মদর্শন -বুদ্ধি ই বল হয় ,,
আত্মার আভাস হলেই পরে বুদ্ধির ও হয় লয় ||

তখন চেতনে আসে শুধু হওআ টুকুই সত্য ,,
সব পরোক্ষ সংযোগ কেটে আত্মা ই একপ্রত্যক্ষ ||

দ্বিতীয় দেহভাবে বহু -কর্মাভাস ভাসে , 
প্রবৃত্তি নাশ হলেই মনে কেবল এক সত্য আভাসে ||

গভীর নিদ্রাকালে চেতনসাথে অহংভাবের ও হয় লয় ,,
জাগ্রত চেতনে অহং পুর্ণপ্রকাশ পায় ||

মধ্যম স্থিতি যারে সপ্নাবস্থা কহি ,, 
আধো-অহংকার যেন এই স্থিতি তেই বহি ||

সপ্নাবস্থায় সুপ্ত-প্রবৃত্তি ভাবনা বয়ে আনে ,
এক সপ্নজগত তৈরী হয় মোদের মননে ||

সেই প্রবৃত্তি ই জাগরণে ইন্দ্রিয়ে হয় বিস্তৃত ,
জাগতিক দৃষ্টি মায়া আর অজ্ঞানতায় স্থিত ||

সুক্ষ -দেহ মন অহংকার দুইয়ের ই কারণ ,,
এভাবে ত্রিবিধ স্থিতির সৃজন -তত্সঙ্গে জনম আর মরণ ||

এবার যখন গুন এর ফেরে জগতটাকে দেখি ,,
মায়া হতেই রজ / তম এ দুই-এর সৃজন , একি !!

সুক্ষ্ম রাজস-বোধে স্থুল-জগত তৈরী হয় ,
বহুরূপে বহুনামে যে জগত প্রপঞ্চময় ||

সৎ-চিত্ত -আনন্দ সাগরে যেমন বুদবুদ ভাসে ,,
তেমনি অন্তরমধ্যে মায়ার জগত ভাসে ||

বহির্দৃষ্টির আবরণ ও এই মায়ার ই গড়া, সংসারের কারণ ও অন্তর্মনে-তা এ মায়ারই সৃষ্টি করা ||

চৈতন্যের প্রতিবিম্ব কেবল সাক্ষীভাবেই ভাসে ,
আবার সাক্ষীচেতন থাকে আচ্ছাদনে মায়াময় তামসে ||

অন্তর্মন অজ্ঞানতার আবরণে থাকে ঢাকা ,
সে আবরণ সরলেই চেতন কেবল শুদ্ধ -ফাঁকা ||

সে আবরণের কারণেই ব্রহ্মকে নাম আর রূপে দেখি ,
হৃদয়ালোকে যা ছিন্ন হলেই কেবল ব্রহ্মই দেখি ||

মায়া -ব্রহ্মের ভেদ হয় ,যখন কর্মজ জগত মেলায় ,
প্রপঞ্চ মেলালেই ব্রহ্মজ্ঞান প্রত্যক্ষ হয় || 

পঞ্চবৈশিষ্ঠের প্রথম ত্রয়ে কেবল ব্রহ্ম ভাসে ,,
সৎ-চিদ-আনন্দে এক ব্রহ্ম ই আভাসে ||

চতুর্থ পঞ্চমে কহি নাম আর রূপ ,,
এ দুটি ব্রহ্ম তো নয় ব্রহ্ম যে অরূপ ||

সৎ -চিদ -আনন্দ পঞ্চভূতে আছে ,,
ব্যোম -মরুত, অগ্নি -অপ,ক্ষিতি তে মিশে আছে ||

দেব পশু নর ব্রহ্মের ই অংশ বিশেষ ,
নাম আর রূপ কেবল জাগতিক দৈত  অশেষ ||

তাই নাম রূপ ছেড়ে হৃদয়ে সত -চিদ-আনন্দ ধরো ,
' অহম ব্রহ্মাস্মি ' - অন্তর্বাহিরে সদা অভ্যাস করো ||

এ সমাধি অভ্যাস ও নিম্নোক্ত দুই প্রকার যথা ,
সবিকল্প পরে নির্বিকল্প এই দুই তথা ||

সবিকল্পে ভিন্ন রহে জ্ঞাতা, জ্ঞান , জ্ঞাত ,,
নির্বিকল্পে তিন ই যেন একাকার অবিরত ||

আবার দুই প্রকারে সবিকল্প সমাধিভাব আসে ,,
প্রথম সাক্ষীভাবে বস্তুধারনায় মননে ব্রহ্ম আভাসে ||

আবার শব্দধারায় যখন সচিদানন্দ ফোটে,
সেটি ই সবিকল্পের দ্বিতীয় রূপ বটে ||

যখন বস্তু -শব্দ বোধ হয় মিলেমিশে এক আকার ,,
অকল্পনীয় পরমানন্দে সব ঘুলেমিলে এক একাকার ||

এ যেন ব্রহ্মসমুদ্রে আমি-টুকুর হাবুডুবু খাওয়া ,,
এক সময় সমস্ত ফাঁকা আমি - র মিলিয়ে যাওয়া ||

দ্বিপশিখাটি হাওয়া তে যেমনে হেলে-দোলে,,
নির্বিকল্পে নিষ্কম্প হয়ে যেমন জ্বলে ||

সবিকল্পের রূপ-শব্দ -সমাধির পারে ,
স্থির অচঞ্চল  সমুদ্রে আত্মা নিজেরে প্রকাশ করে ||

ধ্যানে এই ষষ্ঠ প্রকার সমাধি অভ্যাসে ,
পরমাত্মা দেহবোধের অতীত চেতনে ভাসে ||

তত্পরে মন যখন যথা তথাতেই সমাধি ,
সে সমাধি ভাঙ্গেনা আর চলে নিরবধি ||

পরমাত্মাকে জীবাত্মার এ সমাধিতেই অনুভব ,,
হৃদয়ের গাঁঠ খুলে -নিঃসন্দেহে -জীবন্মুক্ত স্বভাব ||

No comments:

Post a Comment